জাউয়া বাজারে ইজারা দিয়ে সরকার চলতি বছর রাজস্ব আয় করেছে আড়াই কোটি টাকারও বেশি
বার্তা ডেস্ক ::ছাতকের জাউয়া বাজারে ইজারা দিয়ে সরকার চলতি বছর রাজস্ব আয় করেছে আড়াই কোটি টাকারও বেশি
নিজস্ব প্রতিবেদক::গত বছরও এভাবেই আয় করেছে। এভাবে প্রতিবছর বিপুল টাকা আয় করলেও বাজারের উন্নয়নে কোনো ব্যবস্থা নেননি কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন বা সংস্কার না হওয়ায় বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতারা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, কম দামে চালসহ বিভিন্ন শাকসবজি, মাছ, মাংস, গরু, ছাগল ও গৃহস্থালি পণ্যের জন্য জাউয়া বাজারের একটা সুনাম রয়েছে। সপ্তাহে দুই দিন—শনি ও মঙ্গলবার নিয়মিত হাটের দিন হলেও অন্যদিনগুলোতেও প্রচুর ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে এ বাজারে। এ গুরুত্বপূর্ণ বাজারটির প্রতি প্রশাসনের কোনো নজর নেই।
সরেজমিন দেখা গেছে, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কসংলগ্ন জাউয়া বাজারে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে হাজারের বেশি দোকান রয়েছে। বেশির ভাগ দোকানেরই ছাউনি নেই। কাঁচা তরকারি, হাঁস-মুরগিসহ অস্থায়ী বিক্রেতাদের বসার সুবিধাও নেই বাজারে। বাজারের ভেতর পানি ও আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। বাজারের মূল গল্লীসহ অভ্যন্তরীণ সংযোগ গল্লীগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের অভিযোগ, অভ্যন্তরীণ গল্লীগুলো সংস্কার না হওয়া এবং পানিনিষ্কাশনের জন্য নালা-নর্দমা না থাকায় পুরো বাজারই কাদা-পানিতে একাকার হয়ে থাকে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য স্থায়ী ডাস্টবিন না থাকায় অনেকে ময়লা-আবর্জনাগুলো নিজ নিজ দোকানের আশপাশে ফেলে রাখে।
পর্যাপ্ত নলকূপ না থাকায় দোকানিরা পানির কষ্টে ভুগছেন, পুরোনো কিছু টিউবওয়েল ছিলো জাউয়া বাজারে, ৭থেকে ৮টি টিউবওয়েল নিজেদের স্বার্থে গায়েব করে ফেলছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। দুঃখের বিষয় হলো, বাজারে কোনো যাত্রী ছাউনি না থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বর্ষাকালে, প্রচণ্ডরোদ,ঝড়-বৃষ্টি ও তুফানে যাত্রী সাধারণকে বিভিন্ন দোকান,মার্কেট, ও মসজিদের সামনে আশ্রয় নিয়ে যানবাহনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বিশেষ করে নারী যাত্রীদের মহা সড়কে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
বর্ষাকালে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। তাঁরা অভিযোগ করেন, প্রায় দুই কোটি টাকার বাজার হলেও, এ বাজারে কোনো উন্নয়ন হয়নি।
এহেন অবস্থা দেখার ও কেউ নেই…!!
বিষয়টি জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়েও কোনো ফল হয়নি। বর্তমানে অবৈধ জায়গা দখল মুক্ত হয়েছে তাই জনসাধারণের দাবি
বিষয় টি বিবেচনা নিয়ে অতি শিগগিরই একটি যাত্রী ছাউনি সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূল্যক কাজের ব্যবস্থা করা হোক।।